কিছু কথা
 
আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপনকারী এবং ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী যে ধর্মকে দুনিয়া থেকে পৃথক করার চেষ্টায় রহ আছে, তাদের মাঝে কে বড় কাপের ও অধিক পথভ্রষ্ট? শিরক ও শিরকের চর্চা এবং ধর্মনিরপেক্ষতা ও মানুষদের ধর্মনিরপেক্ষতার দিকে আহবান করার মাঝে কোনটি বড় অন্যায়?।
 
উত্তরঃ একজন ধর্ম নিরপেক্ষ ব্যক্তি সন্দেহাতীতভাবে একজন মুশরিক ব্যক্তির চেয়ে অধিক নিকৃষ্ট কাফের। ধর্মনিরপেক্ষতা শিরকের তুলনায় অধিক ঘৃন্যতম অপরাধ। এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে এবং এগুলো সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত। নিম্নে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হল:- প্রথম কারণঃ শাইখূল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা রহ, বলেছেন, মুমিনরা যেভাবে ঈমানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তরের হয়ে থাকে।
 
তেমনিভাবে কাফেররাও তাদের কুফুরী ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তরের হয়ে থাকে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন এই মাস পিছিয়ে দেয়ার কাজ কেবল কুফুরীর মাত্রা বৃদ্ধি করে। (সূরা তাওবাহ: ৩৭)।
 
একদল আলেমদের মতে, ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসীদের মধ্যে যারা পরিচয়গতভাবে হলেও ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত থাকে, তারা মুরতাদদের মধ্যে গণ্য হবে। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহ, সকল কুফুরীর সমতাকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, এটা সবাই জানে যে, কাফের তাতারীরা তাদের ধর্মনিরপেক্ষ ইয়াসিক ধর্মানুসারীদের থেকে উত্তম।
কেননা তারা নিকৃষ্ট পর্যায়ের ইরতিদাদের মাধ্যমে ইসলাম থেকে ফিরে গেছে। আর আসলী কাফেরদের তুলনায় মুরতাদরা বিভিন্ন দিক দিয়ে নিকৃষ্ট। ( মাজমুউল ফাতাওয়া: ২/১৯৩)। কুফুরীর বিভিন্ন প্রকারের মধ্যকার ভিন্নতা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি পরকালকে অস্বীকার করে, কিন্তু এ পৃথিবীর নশ্বরতাকে স্বীকার করে, আল্লাহ তাআলা তাকে অবশ্যাই কাফের সাব্যস্ত করবেন।
 
কিন্তু যে ব্যক্তি পরকালকে অস্বীকার করার পাশাপাশি এ পৃথিবীকে অবিনশ্বর মনে করবে, আল্লাহ তাআলার নিকট সে সবচাইতে বড় কাফের বলে সাব্যস্ত হবে। (মাজমুউল ফাতাওয়া: ১৭/২৯১)।
 
সুতরাং যে ব্যক্তি দুনিয়ার সাথে দ্বীনের সম্পৃক্ততা ও দুনিয়ার দ্বীনের কর্তৃত্বকে অস্বীকার করবে; সে ঐ ব্যক্তির তুলনায় অধিক নিকৃষ্ট।
 
বইটি ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্কটি ক্লিক করুন
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇