কিছু কথা 

(নফছ ও শয়তান কর্তৃক) যাহার কার্যকলাপকে (মরীচিকার মত মোহনীয় ও আকর্ষণীয় করিয়া দেখানো হয়; ফলে সে উহাকে সৎ ও সুন্দর কাজ বলিয়া মনে করে। অন্যান্য পাপাচারের পাশাপাশি এশকে মাজাযী বা অসৎ প্রেম, কুদৃষ্টি ও এতদসংক্রান্ত অন্যান্য কার্যকলাপসমূহ যে গর্হিত ও জঘন্য কাজ- উক্ত আয়াতে সেদিকেও ইঙ্গিত রহিয়াছে।

অথচ, অসৎ প্রেমপূজারী কবি-সাহিত্যিকগন, তাদের নষ্ট-ভ্রষ্ট অনুসারীগণ ও এক শ্রেনীর সৌন্দর্যর মোহগ্রস্ত ভন্ড ও মূর্খ ফকীর-দরবেশ স্রেফ নিজের যৌন লালসা চরিতার্থ করার জন্য এই সকল অপকর্মসমুহকে শুধু জায়েযই নয় বরং সুপ্রিয় ও প্রশসংনীয় বলিয়া প্রচার করে।

এমনকি, ইহাদের অনেকে এই হারাম কর্মকে ছাওয়াবের কাজ ও এশকে হাকীকী বা আল্লাহরপ্রেমের ওছীলা কর্মকে ছাওয়াবের কাজ ও এশকে হাকীকী বা আল্লাহপ্রেমের ওছীলা সাব্যস্ত করিয়া হারাম ও বাতিলের বিষকে মধুর সহিত মিশ্রিত করিয়া স্বীয় মুরীদান, ভক্ত-অনুরক্ত ও শিষ্যদিগকে বিভিন্ন জঘন্য কর্মে, এমনকি যিনা-ব্যভিচারে পর্যন্ত লিপ্ত করিয়াছে।

হাকীমুল উম্মত হযরত থানবী রহ. তমীযুল এশক মিনাল ফেছক গর্হিত প্রেম ও প্রকৃত প্রেমের পার্থক্য নামে একখানা পুস্তিকা প্রণয়ন করিয়াছিলেন। এশকে মাজাযী বা গর্হিত প্রেম যে কী জঘন্য গুনাহ এবং মানবত্মার জন্য কী যন্ত্রণাদায়ক আযাব স্বরূপ, উক্ত পুস্তিকায় তিনি তাহাই বিশদভাবে তুলিয়া ধরিয়াছেন। উহা মুদ্রিত এবং প্রচারিতও হইয়াছিল। কিন্তু এই পুস্তিকায় কখনও আমার নজরে পড়ে নাই ।

হযরত থানবী রহ. তাঁহার জাযাউল আমাল গ্রন্থের মধ্যে বলেন:- গায়ের মাহরাম নারী (অর্থাৎ যাহার সহিত পর্দা করা ফরয) এবং সুশ্রী-সুদর্শন বালক-দরুণের সহিত যেকোন ধরণের সম্পর্কে রাখা, যেমন- তাহার প্রতি দৃষ্টি করা, মনের আনন্দ ও লাভের জন্য তাহার সহিত কথা বলা, নির্জর্নে তারাহ নিকট বসা অথবা তাহাকে সন্তষ্ট ও আকৃষ্ট করার জন্য তাহার চাহিদা, ও রুচি মোতাবেক পোশাকাদি পরা।

বইটি ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
https://www.book-somahar.com/2022/05/pdf-download_31.html